ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




আজ মহান শিক্ষা দিবস

কালের ধারা ২৪ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : ১১:০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ৭৮৬ বার পঠিত
কালের ধারা ২৪, অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
বিজ্ঞাপন
print news

আজ মহান শিক্ষা দিবস

১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ‘মহান শিক্ষা দিবস’। ১৯৬২ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে শহীদ হন। তাদের স্মরণে এ দিনটি শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাস পর ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এসএম শরীফের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন শরীফ কমিশন নামে খ্যাত। কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। আইয়ুব সরকার এ রিপোর্টের সুপারিশ গ্রহণ করে। ১৯৬২ সাল থেকে তৎকালীন সরকার শরীফ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে শুরু করে।

কমিশনের প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষা ধনিক শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখা হয়। এমনকি কমিশন বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করে।

ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ওই দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। এক পর্যায়ে মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে।

সরকারি হিসাবে একজন নিহত, ৭৩ জন আহত এবং ৫৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল- ৩ জন নিহত হয়েছেন। সেদিন সারাদেশেই মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

ট্যাগস :




ফেসবুকে আমরা




x

আজ মহান শিক্ষা দিবস

প্রকাশিত : ১১:০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
বিজ্ঞাপন
print news

আজ মহান শিক্ষা দিবস

১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার ‘মহান শিক্ষা দিবস’। ১৯৬২ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে শহীদ হন। তাদের স্মরণে এ দিনটি শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাস পর ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এসএম শরীফের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন শরীফ কমিশন নামে খ্যাত। কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। আইয়ুব সরকার এ রিপোর্টের সুপারিশ গ্রহণ করে। ১৯৬২ সাল থেকে তৎকালীন সরকার শরীফ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে শুরু করে।

কমিশনের প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষা ধনিক শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখা হয়। এমনকি কমিশন বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করে।

ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ওই দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। এক পর্যায়ে মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে।

সরকারি হিসাবে একজন নিহত, ৭৩ জন আহত এবং ৫৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল- ৩ জন নিহত হয়েছেন। সেদিন সারাদেশেই মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে।