ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




কে হচ্ছেন পরবর্তী আইজিপি

কালের ধারা ২৪ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : ১১:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ৩৮৬ বার পঠিত
কালের ধারা ২৪, অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
বিজ্ঞাপন
print news

কে হচ্ছেন পরবর্তী আইজিপি

পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছর ১১ জানুয়ারি। এরপর আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চাকরির মেয়াদ আবারও বেড়েছে। তার চাকুরীর মেয়াদ এক বছর ছয় মাস অর্থাৎ দের বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। শেষ পর্যন্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চাকরির মেয়াদ যদি ফের বাড়ে এটি হবে দ্বিতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত বছর ৯ জানুয়ারি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সুত্র থেকে বর্তমান আইজিপির এক্সটেনশন এর খবর গত কয়েকদিন আলোচনায় আসছিলো। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আর কোনো অগ্ৰগতি লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যদিকে সরকারের উচ্চ মহলের বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে বর্তমান আইজিপির দ্বিতীয় ধাপের এক্সটেনশন আর হচ্ছে না এবং আইজিপি হিসাবে নতুন মুখ আসছেন ।

এ বিষয়ে ১২ তম ব্যাচের অনেকের ই নাম উঠে এসেছে একাধিক বার। তাদের মধ্যে হচ্ছেন ১২ ব্যাচের অতিরিক্ত আইজিপি,মোস্ট সিনিয়র (এটিউ এর প্রধান) এস. এম. রুহুল আমিন এর নাম আসছে আলোচনায় আর ও আছেন ১২ তম ব্যাচের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রসাশন) মোঃ. কামরুল আহসান। বর্তমানে এই দুই জনের কথা বেশি শোনা যাচ্ছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে থেকে জানা যায় যে – বর্তমান সময়ে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে তাতে সরকার খুব বিব্রত। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিগত সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান নেওয়ার কারণে সরকার এই মুহূর্তে স্বচ্ছ এবং সৎ কাউকে খুঁজেছেন। আর এই বিষয়ের কারনে অতিরিক্ত আইজিপি জনাব এস. এম. রুহুল আমিন এগিয়ে আছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন আইজিপি হিসেবে আলোচনায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ১২তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও এন্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান এস এম রুহুল আমিন।রুহুল আমিন ১৯৯১ সালে ১২তম বিসিএস পুলিশে তার ব্যাচে প্রথম স্থান অধীকার করেন । এছাড়া তিনি পুলিশ একাডেমিতে এবং অন্যান্য প্রতিটি ট্রেনিং ও পরীক্ষায় তিনি প্রথম হইয়েছিলেন।

রুহুল আমিন মিলিটারি বেসিক TRG কোর্সে সেরা ছাত্রের উপাধি লাভ করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির বেসিক TRG কোর্সে সেরা অলরাউন্ডার প্রদর্শনকারীর সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধীনে ফাউন্ডেশন TRG কোর্সে সকল ক্যাডারদের (১৬৯) মধ্যে প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা মেধাবী ছাত্র এস এম রুহুল আমিন বাংলাদেশ পুলিশে দক্ষ,সৎ,চৌকস এবং গ্রহণযোগ্য অফিসার হিসেবে পরিচিত।

এস এম রুহুল আমিন ইতিপূর্বে অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন, অর্থ ও লজিস্টিকস, মানব সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব স্বচ্ছতার সাথে পালন করেছেন।

এস এম রুহুল আমিন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার, ঢাকায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এবং রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করে বরিশালে পুলিশি সেবার নবদিগন্তের সূচনা করেন।

বাংলাদেশ পুলিশে রুহুল আমিনের মতো এত মেধাবী অফিসার খুব কমই এসেছেন বলে অনেকে মনে করেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে বেনজীর কান্ডের পর যে ভয়াবহ ইমেজ সংকট এবং পুলিশের চেইন অব কমান্ডের যে ক্ষতি হয়েছে সেই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এই মুহূর্তে রুহুল আমিনের মতো বিকল্প পুলিশ কর্মকর্তা নেই বলে অনেকের ধারণা। বর্তমানে তার মতো এমন আদর্শবান পুলিশ কর্মকর্তা নেই বলে এই অনেক পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন। রুহুল আমিন গোপালগঞ্জ সদর থানায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়া গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার তালা গ্রামে জম্ম নেয়া রুহুল আমিন পারিবারিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ ও স্বাচ্ছন্দের সহিত বড় হয়েছেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মরহুম এসএম আব্দুল খালেকের পুত্র এস এম রুহুল আমিন ।

তার মতো এমন আদর্শবান পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে তেমন একটা নেই বলে অনেকেই মনে করেন।
অনেকে মনে করছেন, রুহুল আমিনকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমেই দেশের পুলিশ প্রশাসনের বর্তমান অস্থির অবস্হার স্বাভাবিক ও সুদৃঢ় অবস্থানে নেয়া সম্ভব।

এদিকে সরকারের নীতিনির্ধানীদের অনেকেই একমত পোষণ করেছেন এস এম রুহুল আমিন আইজিপি হলে পুলিশের এই সংকটকালীন অবস্থা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং পুলিশ বাহিনীর ইমেজের যে ক্ষতি হয়েছে তা তার নেতৃত্বে অচিরেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

ট্যাগস :




ফেসবুকে আমরা




x

কে হচ্ছেন পরবর্তী আইজিপি

প্রকাশিত : ১১:০২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
বিজ্ঞাপন
print news

কে হচ্ছেন পরবর্তী আইজিপি

পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত বছর ১১ জানুয়ারি। এরপর আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চাকরির মেয়াদ আবারও বেড়েছে। তার চাকুরীর মেয়াদ এক বছর ছয় মাস অর্থাৎ দের বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। শেষ পর্যন্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চাকরির মেয়াদ যদি ফের বাড়ে এটি হবে দ্বিতীয় দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত বছর ৯ জানুয়ারি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সুত্র থেকে বর্তমান আইজিপির এক্সটেনশন এর খবর গত কয়েকদিন আলোচনায় আসছিলো। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আর কোনো অগ্ৰগতি লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যদিকে সরকারের উচ্চ মহলের বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে বর্তমান আইজিপির দ্বিতীয় ধাপের এক্সটেনশন আর হচ্ছে না এবং আইজিপি হিসাবে নতুন মুখ আসছেন ।

এ বিষয়ে ১২ তম ব্যাচের অনেকের ই নাম উঠে এসেছে একাধিক বার। তাদের মধ্যে হচ্ছেন ১২ ব্যাচের অতিরিক্ত আইজিপি,মোস্ট সিনিয়র (এটিউ এর প্রধান) এস. এম. রুহুল আমিন এর নাম আসছে আলোচনায় আর ও আছেন ১২ তম ব্যাচের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রসাশন) মোঃ. কামরুল আহসান। বর্তমানে এই দুই জনের কথা বেশি শোনা যাচ্ছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে থেকে জানা যায় যে – বর্তমান সময়ে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছে তাতে সরকার খুব বিব্রত। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিগত সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান নেওয়ার কারণে সরকার এই মুহূর্তে স্বচ্ছ এবং সৎ কাউকে খুঁজেছেন। আর এই বিষয়ের কারনে অতিরিক্ত আইজিপি জনাব এস. এম. রুহুল আমিন এগিয়ে আছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন আইজিপি হিসেবে আলোচনায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ১২তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ও এন্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান এস এম রুহুল আমিন।রুহুল আমিন ১৯৯১ সালে ১২তম বিসিএস পুলিশে তার ব্যাচে প্রথম স্থান অধীকার করেন । এছাড়া তিনি পুলিশ একাডেমিতে এবং অন্যান্য প্রতিটি ট্রেনিং ও পরীক্ষায় তিনি প্রথম হইয়েছিলেন।

রুহুল আমিন মিলিটারি বেসিক TRG কোর্সে সেরা ছাত্রের উপাধি লাভ করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির বেসিক TRG কোর্সে সেরা অলরাউন্ডার প্রদর্শনকারীর সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধীনে ফাউন্ডেশন TRG কোর্সে সকল ক্যাডারদের (১৬৯) মধ্যে প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা মেধাবী ছাত্র এস এম রুহুল আমিন বাংলাদেশ পুলিশে দক্ষ,সৎ,চৌকস এবং গ্রহণযোগ্য অফিসার হিসেবে পরিচিত।

এস এম রুহুল আমিন ইতিপূর্বে অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে লজিস্টিকস অ্যান্ড অ্যাসেট অ্যাকুইজিশন, অর্থ ও লজিস্টিকস, মানব সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব স্বচ্ছতার সাথে পালন করেছেন।

এস এম রুহুল আমিন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার, সিলেট জেলার পুলিশ সুপার, ঢাকায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এবং রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করে বরিশালে পুলিশি সেবার নবদিগন্তের সূচনা করেন।

বাংলাদেশ পুলিশে রুহুল আমিনের মতো এত মেধাবী অফিসার খুব কমই এসেছেন বলে অনেকে মনে করেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে বেনজীর কান্ডের পর যে ভয়াবহ ইমেজ সংকট এবং পুলিশের চেইন অব কমান্ডের যে ক্ষতি হয়েছে সেই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এই মুহূর্তে রুহুল আমিনের মতো বিকল্প পুলিশ কর্মকর্তা নেই বলে অনেকের ধারণা। বর্তমানে তার মতো এমন আদর্শবান পুলিশ কর্মকর্তা নেই বলে এই অনেক পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন। রুহুল আমিন গোপালগঞ্জ সদর থানায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়া গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার তালা গ্রামে জম্ম নেয়া রুহুল আমিন পারিবারিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ ও স্বাচ্ছন্দের সহিত বড় হয়েছেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মরহুম এসএম আব্দুল খালেকের পুত্র এস এম রুহুল আমিন ।

তার মতো এমন আদর্শবান পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে তেমন একটা নেই বলে অনেকেই মনে করেন।
অনেকে মনে করছেন, রুহুল আমিনকে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে নিয়োগের মাধ্যমেই দেশের পুলিশ প্রশাসনের বর্তমান অস্থির অবস্হার স্বাভাবিক ও সুদৃঢ় অবস্থানে নেয়া সম্ভব।

এদিকে সরকারের নীতিনির্ধানীদের অনেকেই একমত পোষণ করেছেন এস এম রুহুল আমিন আইজিপি হলে পুলিশের এই সংকটকালীন অবস্থা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং পুলিশ বাহিনীর ইমেজের যে ক্ষতি হয়েছে তা তার নেতৃত্বে অচিরেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।