টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অলোয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণে বাধা ও গুজব সৃষ্টির জন্য তীব্র প্রতিবাদ এবং ক্ষোভ প্রকাশ
- প্রকাশিত : ০১:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১ ৯০৩ বার পঠিত
মোঃ সুরুজ্জামান ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ অবশেষে নানা প্রতিকূলতা, বাধা, হুমকির পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের কাজ খুব জোরে সোরে চলছে। সম্প্রতি ভূমি অফিস নিমার্ণের জন্য নতুন নকশা, নতুন ডিজাইনের বিল্ডিং নির্মাণের জন্য প্রথমে মাটি পরিক্ষা ও মাটি পরিক্ষার রিপোর্ট চূড়ান্তভাবে করার পর এবং ২য় ধাপে বালু ফেলে পুকুর ভরাটের কাজ প্রায় শেষের দিকে হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১৭ সাল হতে উক্ত ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য নানা প্রতিকূলতা, বাধা পাড়ি দিয়ে বর্তমানে স্থির হয়েছে যে, ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ভূমি অফিস হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে পূর্বে অলোয়া ইউনিয়নের সকল গ্রামবাসী এবং স্থানীয়দের মতামত নিয়ে গণস্বাক্ষর এবংকি প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপদেষ্টা মরহুম খন্দকার আসাদুজ্জামান উক্ত স্থানেই ভূমি অফিস হবে বলে নানা প্রত্যয়ন পত্র এবং আদেশ কপি দিয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান এম.পি, টাঙ্গাইল-২ এর গোপালপুর, ভূঞাপুরের দুই নয়নের মনি, জনাব তানভীর হাসান ছোট মনির মহোদয় অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ভূমি অফিসের জন্য ২৮শে জুন ২০১৯ ইং তারিখে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। যার কারণে জনসাধারণের মধ্যে স্বত্বি ফিরে আসে। তাদের কোন ভোগান্তির জন্য অন্যস্থানে ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতিত ভূমি অফিস হবে না বলে খুশি হন।
কিন্তু সম্প্রতি এল.জি.ই.ডি মহোদয় বা সংস্থার নিকট কোন কুচক্রী মহল, এখানে ২০০-৩০০ ফিট গভীরতা রয়েছে, অনুপযুক্ত ইত্যাদি নানা ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও জনমনে হতাশার জায়গা তৈরী করেছে বলে জানা যায়। যার কারণে এটির প্রভাব নব নির্মিত ভূমি অফিসে পড়তেছে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতেছে।
জনসাধারণ ও স্থানীয়রা জানান, নামজারির জন্য ওয়ারিশান সনদ বা ইউ.পি চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র লাগে যার জন্য অন্যস্থানে ভূমি অফিস হলে তাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হবে ও পেরেশানির মধ্যে পড়তে হবে। তাই ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ভূমি অফিস নির্মান হওয়াটাকে প্রাধান্য দিতে সরকারের নিকট জনসাধারণের দাবী।
এবিষয়ে মনিরুজ্জামান খান বি.এম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, আমাদের এখানে ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে, হাসপাতাল রয়েছে, প্রাইমারি স্কুল রয়েছে, অলোয়া উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে এছাড়াও রয়েছে আমার নিজ হাতে গড়া ‘মনিরুজ্জামান খান’ বি.এম কলেজ, পাশেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, পরিষদের সাথে সংযুক্ত চারদিকের পাকা রাস্তা রয়েছে। যে স্থানে ভূমি অফিস হতে যাচ্ছে তা অত্যন্ত জনগণের উপযুক্ত ও ফরোয়ার্ড জায়গা। এখানে কারো কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত নাই। জনস্বার্থে জায়গাটি আসলেই উপযুক্ত বিধায় প্রশাসন এবংকি ইতোপূর্বে সাবেক এম.পি, বর্তমান এম.পি, ইউ.এন.ও এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আসলাম হোসাইন পরিদর্শন করে ভূমি অফিস হওয়ার জন্য সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। কিছু অসাধু, কুচক্রী মহলের দেয়া ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও জনমনে হতাশার জায়গা যাতে না তৈরী হয় সেদিকে সরকার, সরকারি প্রশাসন, এল.জি.ই.ডি, জনসাধারণকে বিশেষভাবে সজাগ থাকার আহবান জানাই।’
এসময় ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সৈয়দ মাসুদুল হক টুকু বলেন, ইতোপূর্বে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব ঝোটন চন্দ ,সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আসলাম হুসাইন আমাকে বলেন এই জায়গা কার? আমি বলি, আমি লীজ নিয়েছি। পরে ওনারা আমাকে পুরা জমি ২৯ শতাংশ হতে ১০ শতাংশ লীজ ছেড়ে দিতে বলেন এবং আমি দিয়েছি। পরিষদ সংলগ্ন ভূমি অফিস হলে দেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং সাথে সাথে জনভোগান্তিও কম হবে। জনস্বার্থে, জনকল্যাণে সরকার সমুদ্রের মধ্যেও কাজ করতে কোন সমস্যা নাই।কুচক্রী মহল ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য তথ্য দিয়ে ভূমি অফিসের কাজ বন্ধ রাখতে পারবে না। কারণ সরকার জনস্বার্থে জনগনের সুবিধা দেখে ভালোমন্দ বিভেচনা করেই এখানে ভূমি অফিস নির্মাণের কাজ আরম্ভ করেছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার, এল.জি.ই.ডি, সরকারের প্রতি, জনগণের প্রতি বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই।’
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে কালের ধারা ২৪ গত ৩০ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে ‘অলোয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস উপযুক্ত স্থানে নির্মাণের জন্য জনসাধারণের দাবী’’ মর্মে এক সংবাদসহ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসতেছে।