টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ই-নামজারিতে ভোগান্তিতে সেবাপ্রার্থী
- প্রকাশিত : ১০:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০ ৯৯৪ বার পঠিত
করনা ও বন্যার কারণে অর্থসংকট এবং অভাবের জন্য বর্তমানে ব্যাপক হারে ই নামজারির আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে। নামজারির চাপ অত্যন্ত বেশি। মেয়ের বিবাহের জন্য অর্থসংগ্রহ, ব্যাংক লোন, কৃষি লোন, দলিল সম্পাদন করা, পূর্বের নামজারি করা কাগজপত্র নতুন দাগে নতুন করে নামজারি করা ইত্যাদির জন্য নামজারির আবেদন অত্যন্ত বেশি।
নামজারির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এক্ষেত্রে খুব সহজেই একটি নামজারি বা আলাদা খতিয়ান বা মিউটেশন পাওয়া যায় না। সরকারি হিসেবে ৪৫ দিন কার্যদিবসে নামজারির কথা থাকলেও এখানে প্রায় ২ মাসের মতো সময় লেগে যায়। ইমার্জেন্সী লোন বা নগদ অর্থের ক্ষেত্রে নামজারিকৃত খতিয়ান প্রয়োজন হলেও তা সম্ভব না।
এ বিষয়ে অলোয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাজের পরিমাণ অনেক বেশি, উপরের স্যার বলে শুধু খারিজ নিয়ে পড়ে থাকেন অন্য কাজ করেন না, আমি সকালে এসে চেয়ারে বসলে সারাদিন আমার দাখিলা কাটতে সময় যায়, খারিজ করমু কখন।
নামজারিতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, উপজেলা ভূমি অফিসে দুইজন কম্পিউটার অপারেটর কাজ করে তারা এখনো খুব বেশি দক্ষ হয়ে উঠেনি। সার্ভার ও নেটওয়ার্ক দুর্বলতাকেও তিনি দায়ী মনে করেন।
এদিকে স্থানীয় কৃষক ও অনেক সেবাপ্রার্থী ইনামজারি কি তা বুঝেই না। এবিষয়ে কোন সরকারিভাবে প্রশিক্ষন দেওয়া হয় নাই যাতে তারা অনলাইনে নামজারি করতে পারবে।
নায়েব জাহিদুল ইসলাম সহকারি কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসলাম হুসাইনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ২৮ দিন হচ্ছে সপ্তাহের দু’দিন শুক্রবার, শনিবার এবং সরকারি বন্ধ ব্যতিত। তাহলে হিসাব করে দেখেন সর্বমোট কতদিন লাগে ?
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ আসলাম হুসাইনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, কে বলছে এতদিন লাগে (২) মাস লাগে।
সরকারি হিসাবে কত দিন লাগে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, আটাশ কার্যদিবসে আমরা খারিজ দেই।’
এতো সময় লাগার পরেও খারিজে টুকিটাকি ভূল ও থাকে যেমন নাম, হিস্যা, দাগ নং, খতিয়ানে ইত্যাদি।
সেবাপ্রার্থীগণ দ্রুত সময়ে নির্ভূল খারিজ যাতে তারা পায় সেদিকে সরকারের নিকট দাবী।