বানারীপাড়ায় ভাঙ্গছে নদী- কাঁদছ মানুষ – নিরব প্রশাসন শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মানববন্ধন
- প্রকাশিত : ০৯:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১ ৫৫৯ বার পঠিত
বানারীপাড়ায় ভাঙ্গছে নদী- কাঁদছ মানুষ – নিরব প্রশাসন শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মানববন্ধন
নাহিদ সরদার, বানারীপাড়া প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ক্রমই ছোট হয় আসছে এ উপজেলার মানচিত্র। প্রতিদিন সন্ধ্যার বুকে বিলিন হয়ে যাচ্ছে নদী। তীরবর্তী অসহায় মানুষের ভিটামাটি। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও নদী সংলগ্ন দুই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য মানববন্ধন করছে। ২৪ আগষ্ট সকালে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বিহারীলাল একাডেমী ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে উপস্তিত ছিলেন ইলুহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, বিহারীলাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র, বানারীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইলট বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আঃ করিম, পূর্ব ইলুহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবু সুধাংশু কুমার মন্ডল, বিহারী লাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবু নরেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, শুভ দাস
০৪ নং ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, ০৫ নং শান্তির হাট প্রমুখ। উল্লেখ্য ইতোমধ্যে উপজেলার ব্রাক্ষ্মনকাঠি, দান্ডোয়াট, ধানহাটখোলা, শিয়ালকাঠী, বাংলাবাজার, নলেশ্রী, মসজিদ বাড়ী, দাসেরহাট, কালির বাজার, চাউলাকাঠি, বাসার, গোয়াইলবাড়ি গ্রামের বহু বসত বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ছে। ভয়াল সন্ধ্যার ভাঙ্গনে বহু পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে এখন নিঃশ্ব। কারন হিসেবে দেখা যাচ্ছে সন্ধ্যা নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার ভাঙ্গন বেড়েই চলছে। জানাগেছে এ জনপদের বালু ব্যাবসায়ীরা নিয়ম বর্হিভূত বালু উত্তোলন করায় নদীর গতি পথ পাল্টে নদীর দুই পাড় ভাঙ্গনে তীব্র আকার ধারন করছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা নদীর ইজারা বর্হিভূত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ভাঙ্গন কবলিতরা জানিয়েছেন সন্ধ্যার ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও ভাঙন রোধে সরকারী উদ্যোগ না থাকায় তাদের হতাশা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় তারা সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শাহ আলম’র পক্ষ থেকে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত কয়েকটি স্থান বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।ইলুহার ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান শান্তিহার ডুমুরিয়ার প্রায় কয়েকশো পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাই অনেক শিক্ষার্থী হারিয়ে গেছে ।তারা বর্তমানে কোথায় আছে তা আমি জানিনা। তবে নদী ভাঙ্গন রোধে এমপি শাহ আলম সাহেব আমাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড দপ্তরে পাঠিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধ ব্যাপারে আমার শতভাগ প্রচেষ্টা রয়েছে। ।ইলুহার ইউনিয়ন এর নদীভাঙন ভুক্তভোগী শুভ দাস জানান ,শত শত পরিবারের ভিটেমাটি, সরকারি রাস্তা, কবরস্থান, মসজিদ ,মন্দির, শ্মশান ঘাট অনেক কিছুই বিলুপ্ত হয়েছে এছাড়া দুইটি গ্রাম কুনিহারি শেষ ও শান্তি হার গ্রামের অল্প অংশ আছে । বিহারীলাল একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুব জানান আমি যখন এই বিদ্যালয়ে চাকরিরত অবস্থায় ওখানে গিয়েছি তখন ওখানে সন্ধ্যা নদী কয়েক কিলোমিটার দূরে ছিল । শান্তিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গেছে আর এখন বর্তমানে বিহারীলাল একাডেমি বিদ্যালয়টি নদী ভাঙ্গনের অতি নিকটে আমার অনুরোধ সংশ্লিষ্টদের কাছে নদী ভাঙ্গন রোধে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হোক ।ভাঙন রোধের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল সদর বানারীপাড়ার দায়িত্বরত এস ও রেজাউল করীম আজকের পত্রিকা কে জানান নদী ভাঙ্গনের ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি আমি উর্দ্ধতন স্যারদের কাছে নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি অবগত করব যেন নদী ভাঙ্গন রোধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।