ভূঞাপুরে বৈদ্যুতিক প্রিপেইড মিটার পেতে বিড়ম্ভনা
- প্রকাশিত : ০৭:৩৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১ ৬৬৭ বার পঠিত
মোঃ সুরুজ্জামান (ভূঞাপুর) টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রিপেইড মিটার পেতে নানা ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভূঞাপুরকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুফল এখনো পুরোপুরি গ্রাহক পাচ্ছে না। রয়েছে নানা সমস্যা।
এক্ষেত্রে ৩০ ডিগ্রিতে কাজ, লোডশেডিং, লাইন সংস্কার, যন্ত্রপাতি স্থাপন, মেরামত, প্রাকৃতিক বিপর্যয় নানা কারণে শতভাগ বিদ্যুত সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও রয়েছে প্রিপেইড মিটার বিতরণে বিড়ম্ভনা।
উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের শেষের দিকে হতে ভূঞাপুরে সরকারি নির্দেশে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়। ইনহে মিটার শেষ হলে চায়না কোম্পানির আরো এক ধরনের হেকজিং নামক প্রিপেইড মিটার বিতরণ করেন ভূঞাপুর বিদ্যুৎ অফিস। দু, ধরণের মিটারই বর্তমানে অত্র অফিসে নাই। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের পর হঠাৎ কেন প্রিপেইড মিটার বিতরণ বন্ধ, কেন গড় বিলের মিটার চালু, বা গড় বিলের মিটার অনুযায়ী গ্রাহকের বিল আসবে কিনা এ নিয়ে গ্রাহকের রয়েছে নানা সংশয়।
এ বিষয়ে অফিসে অবস্থানরত সময়ে এক কর্মী বলেন, পিডিবির বিল কখনোই একুরেট হবে না।
কারণ জানতে চাইলে, তিনি আরো জানান প্রচুর সিস্টেম লস।
কমল নামক আরেক লোক জানান, প্রিপেইড মিটার করতে চাইলে আপনাকে টাঙ্গাইল হতে ৬০০০/-টাকা দিয়ে মিটার ক্রয় করতে হবে। এরপর এই অফিসের ফাইল প্রসেসিং, ব্যাংক ড্রাফট বাবদ আরো ২৫০০-৩০০০ টাকার মতো লাগবে।
এদিকে সিরাজ সাহেব নামক এক কর্মকর্তা জানান, পিডিবি বোর্ড হতে পূর্বে কার্ড মিটার দিলেও এখন দেয় না। তাই নতুন গ্রাহকদের বাহিরে হতে প্রিপেইড মিটার ক্রয় করতে হবে। নতুবা তাকে গড় বিলের মিটার নিতে হবে। প্রিপেইড মিটারের জন্য পিডিবিতে চিঠি দিয়েছি। তারা দিলে আবার প্রিপেইড মিটার আমরা অফিসিয়ালভাবে দিতে পারবো।’
ভূঞাপুর বিদ্যুত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান ভূঞা জানান,
‘প্রিপেইড মিটার আমাদের অফিসে নাই। বাহির হতে ক্রয় করতে হবে। অফিসিয়ালীভাবে গ্রাহক অনলাইনে নির্ধারিত সংযোগ ফি দিয়ে মিটার এন্ট্রি করে প্রিপেইড মিটার নিতে হবে। তবে বাহির হতে ক্রয়কৃত মিটারের সুবিধা হলো এটি অনলাইনে এন্ট্রির পর গ্রাহকের নতুন করে মিটার চার্জ যে, পরিমাণ ৪০/- টাকা দিতে হতো তা আর নিবে না।’
তবে পিডিবি বোর্ড আসলেই কি প্রিপেইড মিটার ইমপোর্ট করছে না, নাকি অফিসিয়ালভাবে আনা হচ্ছে না, অথবা সিস্টেম লস কাটিয়ে উঠতে এরকম পরিকল্পনা কিনা এমনটাই জনমনে প্রশ্ন জাগে ।
গ্রাহকের চাহিদা বিভেচনা করে ভূঞাপুরে পোস্টপেইড ও প্রিপেইড উভয় ধরণের মিটারের সুবিধা অফিসিয়ালভাবে দেওয়ার জন্য, কর্তৃপক্ষের নিকট জনসাধারণের দাবী।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকা আসছে সিনোফার্মের আরও ১৭ লাখ টিকা