ভূঞাপুরে ১১,০০০ হাজার হাই বোল্টের তারে জড়িয়ে শ্রমিক বিদ্যুতায়িত
- প্রকাশিত : ০৬:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১ ৯৯৮ বার পঠিত
মোঃ সুরুজ্জামান ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ গতকাল ১০/০৩/২০২১ ইং বিকাল ৪.৫০ ঘটিকার সময় জালাল নামক মুরগীর খামারের শ্রমিক বিদ্যুতায়িত হন। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের নিকলা দড়িপাড়া গ্রামের জংসেদ বা মোনছের আলীর(জনশ্রুতিমতে) পুত্র বলে জানা যায়। তিনি মাত্র অল্প কয়েক দিন হলো ফার্মে এসেছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় জনসাধারণ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় জালাল ফার্মে কাজ করছিলেন। দুপুরেও মুরগীর বাচ্চা রাখার একটি ঘর তিনি পরিষ্কার করছিলেন। পর্যায়ক্রমে ফার্মের অপর আরেকটি ঘর তিনি পরিষ্কার করতে যান। আর এখানেই ঘটে এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনা। এসময় জামাল নিচের কাজ শেষ করে ফার্মের টিনের চালের ওপরে উঠেন। প্রথমে ফার্মের পশ্চিম পাশ ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে। এরপর টিনের চালায় ছিদ্র থাকায় তা পুডিং দিয়ে মেরামতের জন্য ঘরের চালার পূর্ব পাশে যায়। সেখানেও টিনের চালা ঝাড়ু দিয়ে গাছের পাতা সরাতে যান। পরে ভূঞাপুর সাব বিদ্যুত অফিসের শহর ফিডারের আন্ডারে মেইন লাইন অর্থ্যত ১১০০০ হাজার হাই বোল্টের তারে তিনি যখন টিনের চালা হতে উঠে দাড়ান আর তখনই তার মুখ মেইন তারের সাথে লেগে যায়। মূহূর্তে ফার্মসহ পুরা ঘর বিদ্যুতায়িত হয়। এসময় বিদ্যুত ছিটকে ছিটকে পড়ে। আট দশটা মুরগীরও মারা যায়। বিদ্যুতায়িত জালালকে বিশাল একটি শকট দিয়ে ১৫ফিট উচু হতে ফেলে দেয়। তার মুখ জ্বলসে যায়। সাথে সাথে শহর ফিডারের মেইন সুইচ ঐ সময় উঠে যায় অর্থ্যত বিদ্যুত লাইন বন্ধ হয়ে যায়।
এসময় এক কঠিন অবস্থায় সৃষ্ঠি হয়। তাকে দ্রুত ভ্যান গাড়িতে উঠানো হয়। মুখের এক অংশ পুড়ে যায়, শকট পাওয়ার কারণে মাটিতে পড়ে মুখ থুপড়েও যায়। আবেগ ঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে। প্রথমে তাকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সতে নেওয়া হয়। পরে ডাক্তারগণ অপারগতা প্রকাশ করলে টাঙ্গাইল হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখানে ডাক্তারগণ অপারগতা জানিয়ে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর কথা জানান।
শাহ আলম নামক এক সমাজসেবক মুঠো ফোনে জানান, তার অবস্থা শংকটাপন্ন। বর্তমানে তিনি আইসি ইউ বা নিবির পরিচর্য়া কেন্দ্রে আছেন।
সম্প্রতি আজ দুপুরে জানা যায় ফার্মের অস্থায়ী মালিক আসলাম তাকে চিকিতসার ব্যয়ভার যতটুকু সম্ভব চালানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা নেওয়া যাবে রোজা রেখেই