ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




সিলেটে ফের ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট
  • প্রকাশিত : ১০:৫২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ১৩৩ বার পঠিত
কালের ধারা ২৪, অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
বিজ্ঞাপন
print news

সিলেটে ফের ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে ফের ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যদিও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। তবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সিলেটে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ার নদীর পানি সোমবারও ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে মানুষ। পানি কমার সাথে-সাথে ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত। সিলেট নগরীসহ অনেক জায়গায় পানি কমে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একই সাথে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হচ্ছে প্লাবিত এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত দুই দিন বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছিল। তবে সেটি অনেকটা ধীর গতিতে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, পানি ধীরগতিতে নামায় জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি চারটি পয়েন্টে সোমবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছিল।

সিলেট পাউবো বলছে, সোমবার সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। আবার কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।  ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বৃষ্টিতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার পানি বেড়েছে। তবে সুরমা নদীর অববাহিকায় পানি কমেছে। যদিও পানি কমার গতি খুবই শ্ল।পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, হাওরসহ সিলেটের নিচু এলাকা এখনো পানিতে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও মনু নদের পানি সিলেটের কুশিয়ারা নদীতে যুক্ত হচ্ছে। তাই নদীর পানি নামছে ধীরগতিতে। সোমবার রাত ২টার পর বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় পানি  বেড়েছেও। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা জানা যায়, ২৮ জুন থেকে সিলেটে অতিভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হতে পারে। এজন্য আগাম সতর্ক থাকতে বলেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানিয়েছেন, এখনো জেলায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ লোক পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে গত দুই দিন বৃষ্টি না হলেও  সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গল ও বুধবার স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে আর বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।




ফেসবুকে আমরা




x

সিলেটে ফের ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস

প্রকাশিত : ১০:৫২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪
বিজ্ঞাপন
print news

সিলেটে ফের ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে ফের ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। যদিও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। তবে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সিলেটে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ার নদীর পানি সোমবারও ৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে মানুষ। পানি কমার সাথে-সাথে ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত। সিলেট নগরীসহ অনেক জায়গায় পানি কমে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। একই সাথে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হচ্ছে প্লাবিত এলাকায়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত দুই দিন বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছিল। তবে সেটি অনেকটা ধীর গতিতে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, পানি ধীরগতিতে নামায় জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি চারটি পয়েন্টে সোমবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছিল।

সিলেট পাউবো বলছে, সোমবার সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে অবস্থান করছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। আবার কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।  ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেরপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে বৃষ্টিতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার পানি বেড়েছে। তবে সুরমা নদীর অববাহিকায় পানি কমেছে। যদিও পানি কমার গতি খুবই শ্ল।পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, হাওরসহ সিলেটের নিচু এলাকা এখনো পানিতে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও মনু নদের পানি সিলেটের কুশিয়ারা নদীতে যুক্ত হচ্ছে। তাই নদীর পানি নামছে ধীরগতিতে। সোমবার রাত ২টার পর বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় পানি  বেড়েছেও। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা জানা যায়, ২৮ জুন থেকে সিলেটে অতিভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হতে পারে। এজন্য আগাম সতর্ক থাকতে বলেছে সিলেট জেলা প্রশাসন। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানিয়েছেন, এখনো জেলায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ লোক পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে গত দুই দিন বৃষ্টি না হলেও  সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গল ও বুধবার স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে আর বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।